কানাডায় স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থী আজ নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি। একসময় যেখানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়ালেখা শেষ করে কাজ এবং পিআর (পার্মানেন্ট রেসিডেন্স) পাওয়া ছিল তুলনামূলক সহজ, এখন সে পথ অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
নিয়মের পরিবর্তন এবং বর্তমান বাস্তবতা
- স্টুডেন্ট ভিসার নতুন নিয়ম: ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া এখন আরও জটিল।
- CRS পয়েন্ট বাড়ানোর চাপ: পিআর পাওয়ার জন্য CRS পয়েন্ট বাড়ানোর কারণে অনেকের স্বপ্ন থমকে গেছে।
- ওয়ার্ক পারমিটের সীমাবদ্ধতা: পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ওয়ার্ক পারমিটে কড়াকড়ি এসেছে, ফলে পড়ালেখা শেষ করেও স্থায়ী হওয়া কঠিন।
প্রভাবিত শিক্ষার্থীদের গল্প
এক ছোট ভাইয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যাক, যিনি ২০২০ সালে টরন্টোতে এসেছিলেন। প্রথমদিকে ভালো কাজ পেলেও প্রভিন্স পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি তার বিপক্ষে চলে যায়। গাড়ি কেনা ও অন্যান্য খরচ তাকে আর্থিকভাবে চাপে ফেলে। পিআর না পেলেও, তিনি $৩০,০০০ সঞ্চয় করতে পেরেছেন, যা দিয়ে দেশে ফিরে নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন।
তার কথা:
“কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এখন আমি জার্মানিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।”
নতুন স্বপ্নের সন্ধান
এক জায়গায় স্বপ্ন পূরণ না হলে, অন্য কোথাও নতুন সুযোগ খোঁজাই জীবনের শিক্ষা। কানাডায় শিখে নেওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনেকেই দেশে ফিরে নতুন করে শুরু করার কথা ভাবছেন।
মনোবল ধরে রাখুন
যারা এখন দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন বা নতুন পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য একটি বার্তা—হতাশ না হয়ে যা শিখেছেন, তা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যান। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় একটি নতুন সুযোগের দরজা খুলে দিতে পারে।
আমার বার্তা
কানাডায় থাকা, কাজ করা বা স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও আপনি যা শিখেছেন, সেটাই আপনার সবচেয়ে বড় অর্জন। জীবনের প্রতিকূলতাকে শক্তিতে রূপান্তর করুন। আল্লাহ আপনাদের জন্য আরও ভালো সুযোগ তৈরি করে দেবেন।
আমার শুভকামনা রইলো। নতুন স্বপ্নের পথে এগিয়ে যান।
কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা
জানুয়ারি ১০, ২০২৫